মৌখিক পরীক্ষা চলছে। বিষয়
পদার্থবিদ্যা।
এক ছাত্রকে শিক্ষক প্রশ্ন করছেন-
শিক্ষকঃ আচ্ছা, বলতো- আলোর বেগ বেশি না শব্দের?
১ম ছাত্রঃ স্যার, আলোর।
শিক্ষকঃ গুড।
তা একটা উদাহরণ দাওতো?
১ম ছাত্রঃ আমরা যখন কম্পিউটার অন করি তখন আগে আলো জ্বলে কিন্তু তার অনেক পরে শব্দ শুনতে পাই। অতএব
আলোর বেগ শব্দের চেয়ে বেশি।
শিক্ষকঃ গর্দভ কোথাকার!
এটা কি কোন উদাহরণ হল!
এবার শিক্ষক আরেক ছাত্রের মৌখিক পরীক্ষা নিচ্ছেন
.
.
.
.
শিক্ষকঃ বলতো- কার বেগ বেশি?
আলোর না শব্দের?
২য় ছাত্রঃ স্যার, অবশ্যই আলোর।
শিক্ষকঃ (একটু খুশি হয়ে)
তা বাবা একটা উদাহরণ দিতে পারবা ?
২য় ছাত্রঃ এই যেমন ধরেন স্যার-আমরা যখন মোবাইল ফোন অন
করি তখন আগে আলো দেখি তারপর ওয়েলকাম টিউনশুনি। সুতরাং আলোর
…
…
…
শিক্ষকঃ ভাগো, ভাগো এখান থেকে! যত গাধা এসে জুটেছে এখানে।
৩য় ছাত্রকে ডাকার আগে শিক্ষক ভাবছেন আমি মনে হয় একটু কঠিন করে প্রশ্ন ধরছি। ঠিক আছে এবার একটু সহজ করে ধরি
.
.
.
শিক্ষকঃ ধরো, তুমি একটা পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছো। এমন সময় দূরের একটা পাহাড়ের চূড়া থেকে কামানের গোলা ছোড়া হল। তাহলে কি হবে? তুমি গোলা ছোড়ায় যে শব্দ হল সেটা আগে শুনতে পাবে নাকি কামানের মাথায় যে আগুন জ্বলেছিল সেই আলোটা আগে দেখবে?
৩য় ছাত্রঃ (হাসতে হাসতে) স্যার, এটার উত্তর তো খুব সোজা।আলো আগে দেখতে পাবো।শিক্ষকঃ (উদ্ভাসিত চোখে) বাহ! বাহ! এইতো পারছো। একেই বলে মেধাবী ছাত্র। তা বাবা, এর ব্যাখ্যাটা কি দেবে?
.
.
.
.
.
.
.
.
৩য় ছাত্রঃ কারণ স্যার, আমার চোখ যে কানের থেকে একটু সামনে।