দম্পতিদের একই রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশি। এক গবেষণার দেখা গেছে, হাঁপানি বা বিষণœতার মতো রোগগুলোতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই আক্রান্ত হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহামের গবেষকগণ বলেছেন তারা
যেহেতু একই পরিবেশে বসবাস করছে তাই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে একই সাথে। যদিও সংক্রামক ব্যাধি তাদের গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ইউনিভার্সিটির জেনারেল প্রেকটিশনারগণ বিশেষভাবে লক্ষ্য করলেন দম্পতিদের রক্তচাপ থাকছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। যাদের স্বাভাবিক থাকছে তাদের দু’জনই সুস্থ আছেন। তারা এ যোগসূত্র প্রতিষ্ঠা করতে আরো গবেষণার মনোনিবেশ করলেন। দেখা গেল স্বামী বা স্ত্রী হাঁপানি বা বিষণœতায় আক্রান্ত হলে তার স্ত্রী বা স্বামীরও একই রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি। ৩০ থেকে ৭৪ বছর বয়স্ক আট হাজারেরও বেশি দম্পতিকে গবেষণার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বয়স ছাড়াও ¯ু’লতা এবং ধূমপানের অভ্যাসকে বিবেচনার নেয়া হয়। দেখা গেছে হাঁপানি, বিষণœœতা বা পেপটিক আলসারে আক্রান্তের স্বামী বা স্ত্রী এ সকল রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা ৭০ শতাংশ। রক্তে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল আছে এমন কারো সাথে যাদের বিয়ে হচ্ছে তাদেরও একই সমস্যায় আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে। গবেষকগণ বলছেন এ যোগসূত্রের কারণ হতে পারে তাদের সামগ্রিক পরিবেশ। উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণ তাদের একই খাদ্যাভ্যাস এবং শরীর চর্চার ধরণ। স্বাস্থ্যসেবা নেবার ব্যাপারে তাদের মনোভাবও থাকে অভিন্ন। বৃটিশ মেডিকেল জার্নালে যৌথ নিবন্ধে গবেষক ডা. জুলিয়া হিপিসলে-কক্স বলেছেন, দম্পতিদের একই রোগে আক্রান্তের পেছনে কারণ হচ্ছে তাদের অভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা। এছাড়া জেনেটিক এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু ব্যাপারে এক্সপোজারের ইতিহাসও থাকছে। তাদের একইসাথে হাঁপানিতে আক্রান্তের কারণও একই। কেননা একই এলার্জেনে এক্সপোস্ড হওয়ার রোগও হচ্ছে একই। হাঁপানির ক্ষেত্রেও এ কথা সত্যি। সামাজিক অবস্থায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থা সবই এক হওয়ায় রোগের ধরণ ও অভিন্ন। ডা. হিপিসলে-কক্স বলেছেন, স্বামী বা স্ত্রীর উচ্চ রক্তচাপসহ আলোচ্য রোগগুলোতে কোন একজন আক্রান্ত হলে অন্যজনকেও ফলোআপ করতে হবে। তিনিও যে এসব রোগে আক্রান্ত হতে পারেন তাও মাথায় রাখতে হবে। এমনকি ওষুধ দেবার সময় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে শুধু একজনের চিকিৎসার কথা ভাবলে চলবে না। পরিবারের অন্যদেরকেও বিবেচনায় নিতে হবে। ব্রিটিশ হাট ফাউন্ডেশনের মেডিকেল ইনফরমেশনের প্রধান বেলিনডা লিনডেন বলেছেন, হৃদরোগের মতো ক্রনিক রোগে আক্রান্তের ক্ষেত্রে একই পরিবেশ বিশেষ ভূমিকা রাখে। লাইফস্টাইল এখানে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে বসবাস করার ফলে স্বামী-স্ত্রী দুজনই একইরকম খাবার খাচ্ছে, শারীরিক শ্রমও হচ্ছে প্রায় একই। ধূমপানের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ফলে একজন যদি হৃদরোগে আক্রান্ত হয় তবে অপরজনের ঝুঁকিও সমান। তিনি আরো বলেছেন, এ গবেষণায় বোঝা গেল বাড়ির পরিবেশ স্বাস্থ্যের উপর কতোটা প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্যকর জীবন যাত্রা সবারই জন্য মঙ্গলজনক।
যেহেতু একই পরিবেশে বসবাস করছে তাই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে একই সাথে। যদিও সংক্রামক ব্যাধি তাদের গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ইউনিভার্সিটির জেনারেল প্রেকটিশনারগণ বিশেষভাবে লক্ষ্য করলেন দম্পতিদের রক্তচাপ থাকছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। যাদের স্বাভাবিক থাকছে তাদের দু’জনই সুস্থ আছেন। তারা এ যোগসূত্র প্রতিষ্ঠা করতে আরো গবেষণার মনোনিবেশ করলেন। দেখা গেল স্বামী বা স্ত্রী হাঁপানি বা বিষণœতায় আক্রান্ত হলে তার স্ত্রী বা স্বামীরও একই রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি। ৩০ থেকে ৭৪ বছর বয়স্ক আট হাজারেরও বেশি দম্পতিকে গবেষণার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বয়স ছাড়াও ¯ু’লতা এবং ধূমপানের অভ্যাসকে বিবেচনার নেয়া হয়। দেখা গেছে হাঁপানি, বিষণœœতা বা পেপটিক আলসারে আক্রান্তের স্বামী বা স্ত্রী এ সকল রোগে আক্রান্তের আশঙ্কা ৭০ শতাংশ। রক্তে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল আছে এমন কারো সাথে যাদের বিয়ে হচ্ছে তাদেরও একই সমস্যায় আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে। গবেষকগণ বলছেন এ যোগসূত্রের কারণ হতে পারে তাদের সামগ্রিক পরিবেশ। উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণ তাদের একই খাদ্যাভ্যাস এবং শরীর চর্চার ধরণ। স্বাস্থ্যসেবা নেবার ব্যাপারে তাদের মনোভাবও থাকে অভিন্ন। বৃটিশ মেডিকেল জার্নালে যৌথ নিবন্ধে গবেষক ডা. জুলিয়া হিপিসলে-কক্স বলেছেন, দম্পতিদের একই রোগে আক্রান্তের পেছনে কারণ হচ্ছে তাদের অভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা। এছাড়া জেনেটিক এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু ব্যাপারে এক্সপোজারের ইতিহাসও থাকছে। তাদের একইসাথে হাঁপানিতে আক্রান্তের কারণও একই। কেননা একই এলার্জেনে এক্সপোস্ড হওয়ার রোগও হচ্ছে একই। হাঁপানির ক্ষেত্রেও এ কথা সত্যি। সামাজিক অবস্থায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থা সবই এক হওয়ায় রোগের ধরণ ও অভিন্ন। ডা. হিপিসলে-কক্স বলেছেন, স্বামী বা স্ত্রীর উচ্চ রক্তচাপসহ আলোচ্য রোগগুলোতে কোন একজন আক্রান্ত হলে অন্যজনকেও ফলোআপ করতে হবে। তিনিও যে এসব রোগে আক্রান্ত হতে পারেন তাও মাথায় রাখতে হবে। এমনকি ওষুধ দেবার সময় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে শুধু একজনের চিকিৎসার কথা ভাবলে চলবে না। পরিবারের অন্যদেরকেও বিবেচনায় নিতে হবে। ব্রিটিশ হাট ফাউন্ডেশনের মেডিকেল ইনফরমেশনের প্রধান বেলিনডা লিনডেন বলেছেন, হৃদরোগের মতো ক্রনিক রোগে আক্রান্তের ক্ষেত্রে একই পরিবেশ বিশেষ ভূমিকা রাখে। লাইফস্টাইল এখানে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে বসবাস করার ফলে স্বামী-স্ত্রী দুজনই একইরকম খাবার খাচ্ছে, শারীরিক শ্রমও হচ্ছে প্রায় একই। ধূমপানের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ফলে একজন যদি হৃদরোগে আক্রান্ত হয় তবে অপরজনের ঝুঁকিও সমান। তিনি আরো বলেছেন, এ গবেষণায় বোঝা গেল বাড়ির পরিবেশ স্বাস্থ্যের উপর কতোটা প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্যকর জীবন যাত্রা সবারই জন্য মঙ্গলজনক।