বয়ঃসন্ধিতে পা রাখা কিশোর-কিশোরী। রাতে তাদের প্রায় আট থেকে সাড়ে নয় ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমানো উচিত। কিন্তু অনেকে তা পারে না। বয়ঃসন্ধিতে উপনীত হওয়ার সময় কিশোর-কিশোরীদেরআগের তুলনায় আরও বেশি সময়ের ঘুম দরকার। যেহেতু তারা স্কুল ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে এত ব্যস্ত থাকে, দীর্ঘদিন ধরে তারা ঘুমের অভাব নিয়ে চলে। স্বাস্থ্যকর সময় তারা কাটাতে পারে না। হিসাবটা ওভারটাইম করার মতো জটিল হয়ে ওঠে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা কম ঘুমানো হলে সপ্তাহের শেষে তার পুরোটা যোগ হয়ে যায়। এই ঘুমহীন অবস্থা নানা সংকট তৈরি করে—
০১.মনোযোগ কমে যায়।
০২.স্বল্পকালীন স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
০৩.দৈনন্দিন কাজের বা পড়াশোনার মানে জোয়ার-ভাটা ঘটতে দেখা যায়।
০৪.তাৎক্ষণিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না।কম ঘুমের ফলঃ মেজাজ খিটখিটে হওয়া। স্কুলে সমস্যা সৃষ্টি। এমনকি গাড়ি বা কোনো বাহন চালানোতে প্রায় দুর্ঘটনায় পড়া।এ রকম বিনিদ্র প্রহর গড়াতে গড়াতে বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছানো কিশোর-কিশোরী দেরিতে ঘুমানো, দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা; মোটকথা, এক বিশ্রী ঘুম রুটিনের আবর্তে পড়ে যায়। সপ্তাহে শেষে দেখা যাবে তার অবস্থা আরও শোচনীয় হয়েছে। সুতরাং বয়ঃসন্ধিকালের কিশোর-কিশোরীদেরতাই প্রতি রাতে নিয়মমাফিক একই সময়ে বিছানায় যেতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে একই সময় বজায় রেখে। এবং প্রতিরাতে যেন নিদেনপক্ষে আট-নয় ঘণ্টার মতো তারা ঘুমায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আর এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে মা-বাবা কিংবা পরিবারের বড়দেরই।