রোগের নামঃ ক্ল্যামাইডিয়া

যৌনবাহিত রোগসমূহের মধ্যে এই রোগটি একটি পরিচিত রোগ। এটি কম বয়স্ক লোকদের মাঝে হয়ে থাকে। বিশেষ করে যাদের বয়স ২৬/২৭ বছরের কম তাদের এই রোগ বেশী হয়। এটি সাধারণত এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ফলে এই রোগ ছড়ায়।লক্ষণ সমূহ ক্ল্যামাইডিয়া আক্রান্ত পুরুষের পেনিস থেকে রক্ত ক্ষয়িত হতে পারে এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালা জ্বালা ভাব থাকতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত নারীদের যৌন থেকে এক প্রকার রস ক্ষয়িত হয়। যৌন ও তার আশে পাশে এলাকায় চুলকানি ও জ্বালাপোড়া এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া বেশী হবে ও তলপেটে ব্যাথা করবে।সমস্যা সমূহ ক্ল্যামাইডিয়া আক্রান্ত নারীদের গর্ভধারণ জনিত মারাত্মক সমস্যা পোহাতে হয় এই রোগের কারনে নারীদের নিষিক্ত ডিম্বানু নির্ধারিত প্রজনন অঙ্গে স্থান না নিয়ে অন্যত্র স্থানে নেয় এবং সেখানেই বিকশিত হয়। এই রোগের ফলে শ্রেনীর প্রদাহ জনিত রোগ বা পিআইডির নানা সমস্যা হয় ফলে এটি এমন মারাত্মক আকার ধারণ করে যে, পরবর্তীতে গর্ভধারন করাও অসম্ভব হয়ে উঠে।পুরুষদের ক্ষেত্রে এই রোগে অন্ডথলি, শুক্রাশয় ইত্যাদিকে আক্রান্ত করে এবং সেই ব্যক্তি পরবর্তীতে সন্তানদানে অক্ষম হয়ে পড়ে।চিকিৎসাএই রোগ নিয়ন্ত্রনের জন্য সাধারণত বিভিন্ন প্রকার এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। সেইরকম একটি এন্টিবায়োটিক হচ্ছে টেট্রাসাইক্লিন।নিয়মমাফিক এন্টিবায়োটিক কোর্স শেষ করলে এবং নিয়মকানুন মেনে চললে এই রোগ সারিয়ে তোলা সম্ভব। এন্টিবায়োটিক মাঝ পথে এসে থামিয়ে দিলে তা আপনার জন্য মারাত্মক হয়ে উঠবে। ঔষধ শেষ হওয়ার পর একটি চেকআপ করে নিন যে, আপনি পুরোপুরি সুস্থ কিনা ?
প্রতিরোধ
ক্ল্যামাইডিয়া প্রতিরোধ করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে একাধিক যৌনসঙ্গীর সাথে যৌন সম্পর্ক গড়ে না তোলা। বেশীমাত্রায় সেক্স পার্টনার থাকলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। অতএব এটি পরিত্যাগ করা বাঞ্চনীয় । প্রতিবার সঙ্গমের সময় কনডম ব্যবহার করা। জুনিয়ন্ত্রক ফোম বা জেলি ব্যবহার করা ভালো। বছরে একবার অন্তত ডাক্তারী পরীক্ষা করে কোন সমস্যা আছে কিনা তা দেখা।