Weather in Chittagong
তরমুজের পুষ্টিগুণঃ
বৃহৎ আকৃতির ফল তরমুজ। পুষ্টিতেও রয়েছে এই ফলের বৃহৎ মাত্রা। তরমুজের ওজনের প্রায় শতকরা ৯৩ ভাগই পানি। পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় তরমুজ পানিশূন্যতা দূর করে, অতিরিক্ত গরমে শরীর থেকে যে জরুরি খনিজ লবণ বের হয়ে যায়, তা পূরণ করে দেয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম উচ্চরক্তচাপ হতে বাধা দেয়। দেহে অম্ল ও ক্ষারের সাম্যাবস্থা বজায় থাকে, অতিরিক্ত গরমে শরীরের জ্বালাপোড়াজনিতসমস্যা দূর করে। ত্বকের প্রতিটি বিন্দুতে পানি পৌঁছে দেয় বলে তরমুজ নিয়মিত খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, চুলও সুন্দর হয়। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’-র বসবাস এই ফলে। ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য যথেষ্ট উপকারী। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েরা নিয়মিত তরমুজ খেলে সন্তানদের রাতকানা, জেরোসিস, জেরোপথ্যালমিয়া, চোখ ওঠা— এই চোখের রোগগুলো সহজে হবে না। তরমুজ গরমজনিত ঠান্ডা লেগে যাওয়া, হাঁচি, কাশি, টনসিল দূর করে। তরমুজের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হূৎপিণ্ডের রোগগুলো দূর করতে সাহায্য করে, হূৎপিণ্ডের মাংসপেশিকে করে শক্তিশালী। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে তরমুজে, যা দাঁত, হাড়, চুল গঠনের জন্য রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। এতে রয়েছে ফোলেট, আয়রন, যা রক্তের হিমোগ্লোবিনকে করে ভীষণ শক্তিশালী। অল্প পরিমাণে চিনি থাকার জন্য ডায়াবেটিস রোগীরাও তরমুজ খেতে পারবেন। তবে অতিরিক্ত মিষ্টি তরমুজ বেশি পরিমাণে না খাওয়াই ভালো।