কানের খৈল পরিস্কার নিয়ে কিছু কথা ।


কান পরিষ্কার করতে ঝুঁকি নেয়া উচিত নয় কানের খইলের ইংরেজি নাম ‘এয়ার ওয়াক্স’। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা একে ‘সিরোমেন’ বলেন। কানের খইল সাধারণভাবে দুই ধরনের হয়, একটি ভেজা আরেকটি শুকনা। ৮০ শতাংশ মানুষেরই কানের খইল ভেজা থাকে এবং মাত্র ২০ শতাংশ মানুষের কানে শুকনা খইল থাকে।শুধু মানুষ নয় আরো অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণীর কানেও খইল জমতে দেখা যায়।কিন্তু কানের ময়লা সাফ করার কোনোই প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা। তারা বলেন, কানের ময়লা আপনা থেকেই বের হয়ে যায়। কানের ময়লা ধীরে ধীরে কর্ণ গহবর থেকে এগিয়ে আসে। তারপর তা ঝরে পড়ে যায়।অনেক সময় লঞ্চঘাট, ফেরি, বা বাস-রেলস্টেশনে কান পরিষ্কার করার লোক দেখা যায়। তাদের হাতে থাকে ছোট একটা বাক্স। তাতে নানা জাতীয় রঙিন পদার্থ থাকে এবং বিচিত্র আওয়াজ করে তার সম্ভাব্য খদ্দেরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। পরে খদ্দের পেলে তাদের কান থেকে ময়লা বের করেন।কিন্তু এমনটার প্রয়োজন নেই। কেননা আমাদের চোয়ালের হাড়ের সাথে কানের সংযোগ রয়েছে। ফলে খাদ্য চিবানো বা নানা কারণে যখনই আমরা কান নাড়াচাড়া করি তখনই কানের ভেতরে নাড়া পড়ে এবং জমে থাকা ময়লা ধীরে ধীরে বাইরের দিকে আসতে শুরু করে। একই সাথে কর্ণ-কোষ বৃদ্ধি পায় এবং ময়লাকে বাইরের দিকে ঠেলে দেয়। ফলে কান পরিষ্কার করার কোনো দরকার পড়ে না। বরং কান পরিষ্কার না করলেও তা সবচেয়ে বেশি পরিষ্কার থাকে। অন্য দিকে কান পরিষ্কার করা হলে কানে ফোঁড়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া কান পরিষ্কার করার সময় ময়লাকে আরো ভেতরে ঠেলে দেয়া হতে পারে। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।অথবা পরিষ্কার করতে গিয়ে কানের পর্দায় খোচা লাগতে পারে বা কানের ভেতরের ত্বক ছিঁড়ে যেতে পারে, যা বিপদের কারণ হয়ে দেখা দেবে।কখনো ময়লা পরিষ্কার করতে হলে তা করতে হবে একজন নাক- কান-গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দিয়ে। কোনো কোনো সময় কানের ময়লা অনেকের জন্য সঙ্কটের সৃষ্টি করে। সে ক্ষেত্রে কানের ময়লা বা খইল সরানোর প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এ কাজটি চিকিৎসক ছাড়া আর কারো করা ঠিক হবে না।